বাড়ির পাশে জঙ্গলে আসর বসানো ছাড়াও চলতো মা*** বেচাকেনা, ছিল টর্চার সেল। বরগুনার রিফাত হ***র মূল হোতা নয়ন বণ্ডের বাড়িতে গিয়ে আস্তানার পাশপাশি মিললো নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রিফাত হ***র আগে আরও বেশকজনকে রামদা দিয়ে কোপানোর অভিযোগ আছে নয়নের বিরুদ্ধে। তথ্য মিললো কিভাবে বরগুনার সাব্বির আহমেদ হয়ে উঠলো নয়ন বন্ড।
রিফাতকে যেখানে কোপানো হয় তার পাশে বরগুনার পশ্চিম কলেজ রোডে নয়নের বাড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- বাড়ির আঙিনার ঝোপঝাড়ের পেছনে মা***ের আসর বসানো হতো। মা***াসক্ত ছিলেন নয়নসহ তার সব সহযোগীরা, বিক্রিও করতেন মা***। টাকার টান পড়লে মাকেও মার*ধর করতো নয়ন।
নয়ন বন্ডের বাড়ির ভাড়াটিয়া আনোয়ারুল কবির জানান, নয়ন জেদের বসে প্রায়ই টেবিল-চেয়ার ভাঙতো, তার মা বাধা দিতে আসলে তাকেও মার*ধর করতো।
পুলিশের খাতায় নয়নের নামে মা*** ও ৬টি মা**মা**সহ ৮ টি মামলা আছে। নয়নের দায়ের কোপে গুরুতর আ** হন স্থানীয় তরিকুল, রাকিব, জীবন। যারা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন নয়নের আঘাতের ক্ষত চিহ্ন।
নানান অপকর্ম করলেও নয়ন, রিফাত, রিশান ফরাজীদের দাপট ছিলো শহরজুড়েই। অভিযোগ আছে স্থানীয় রাজনৈতিক ছত্রছায়া আর পুলিশের সঙ্গে সখ্যতারও।
বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোতালেব মৃধা বলেন, ‘পুলিশ-প্র*শা*সন আছে, তারা ব্যবস্থাও নিচ্ছে। আমি মনে করি আমাদের পুলিশ সুপার ভালো আছেন, কিন্তু নিচ লেভেলে যারা আছেন তাদের কার্যকলাপে আমরা সন্তুষ্ট না।’
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির মাহমুদ বলেন,’মা***ের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স। এলাকায় খবর নিলেই এর প্রমাণ পাবেন।’
স্থানীয় লোকজন জানায়- জেমস বন্ডের নাম থেকে সাব্বির আহমেদ নয়ন নিজের নামে শেষে বন্ড যোগ করে হয়ে যান নয়ন বন্ড। গড়ে তুলেছিলেন গ্রুপ-০০৭।